বছরের শেষ দিনে সেরা বাছাই সহজ কাজ ২০১৬ সালে মনে রাখার
মতো ইনিংস তামিম ইকবাল
একের অধিকই খেলেছেনবছরের শেষ
দিনও মাঠেই ছিলেন তামিম
ইকবাল-সাকিব আল হাসানরা। তবে
ব্যাট হাতে মনে রাখার
মতো তেমন কিছু করতে
পারেননি। পেছন
ফিরে পুরো বছরটাকে এক
নজর দেখে নিলে অবশ্য
তামিম-সাব্বিরদের ব্যাটে রচিত হয়েছে
বেশ কিছু বীরত্ব-গাথা। ২০১৬
সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মনে রাখার মতো
অনেক ইনিংসই আছে।
তবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সেরা ইনিংসগুলো বেছে
নেওয়া অতটা কঠিন নয়।
বছরের শেষ দিনে সেরা বাছাই সহজ কাজ |
১. ১০৪, তামিম ইকবাল,
ঢাকা টেস্ট, প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড
অক্টোবরে
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে হেরে যাওয়ায়
সিরিজে ফিরতে ঢাকা টেস্টে
জিততেই হতো বাংলাদেশের।
১ রানে ১ উইকেট
হারানোর পরও বাংলাদেশকে পথ
দেখিয়েছিলেন তামিম। টেস্টে
ইংলিশদের বিপক্ষে তৃতীয় সেঞ্চুরিটা পেলেন
এ ম্যাচেই। দ্বিতীয়
উইকেটে মুমিনুল হকের সঙ্গে তামিম
গড়লেন ১৭০ রানের জুটি। মঈন
আলীর বলে এলবিডব্লু হওয়ার
আগে তামিমের রান ১০৪।
টেস্টটা শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ
জেতে ১০৮ রানে।
তবে অসাধারণ বোলিংয়ে ম্যাচের সব আলো কেড়ে
নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
২. ৬৪*, সাব্বির রহমান,
চট্টগ্রাম টেস্ট, প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড
শুধু সংখ্যা দেখে সাব্বিরের
ইনিংসটার মাহাত্ম্য বোঝা যাবে না। চট্টগ্রাম
টেস্টে চতুর্থ দিন শেষে
অপরাজিত ছিলেন ৫৯ রানে। জিততে
হলে শেষ দিনে বাংলাদেশের
দরকার ছিল ৩০ রান
আর ইংল্যান্ডের ২ উইকেট।
বাংলাদেশ তাকিয়ে একজনের দিকে-সাব্বির। তিনি
পারেননি আবার হারও মানেননি। এক
প্রান্তে দাঁড়িয়ে দেখেছেন দলের পরাজয়টা।
হারের পর হাঁটু গেড়ে
মাথায় ব্যাটের হাতল হেলমেটে ঠেকিয়ে
উইকেটে বসে সাব্বির-বিরাট
আক্ষেপের গল্প হলেও বুক
চিতিয়ে লড়াইয়ের প্রতীকী ছবিও এটি।
বছরের শেষ দিনে সেরা বাছাই সহজ কাজ |
৩. ১০৩*, তামিম ইকবাল,
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ধর্মশালা, প্রতিপক্ষ ওমান
ক্রিকেটের
সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে ১০ বছর কাটিয়ে
দিলেও বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান কেন
যেন তিন অঙ্কের দেখা
পাচ্ছিলেন না। সেটি
অবশেষে এল তামিমের হাত
ধরেই। ব্যাটিংয়ে
বাংলাদেশের অনেক রেকর্ড তাঁর
অধিকারে। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরি করার
রেকর্ডটা যেন তাঁরই মানায়। ৬৩
বলে তামিমের ১০৩ রানের সৌজন্যে
১৮০ করে বাংলাদেশ।
ডি-এলে ম্যাচটা বাংলাদেশ
জেতে ৫৪ রানে।
সাব্বির
রহমানের ব্যাটে ২০১৬ সালে
ছিল রানের ফোয়ারা৪. ৮০,
সাব্বির রহমান, এশিয়া কাপ
টি-টোয়েন্টি, মিরপুর, প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা
২-২, প্রথম ৯
বলে বাংলাদেশের স্কোর ছিল এমনই। সেখান
থেকে বাংলাদেশ যে ১৪৭ রানের
চ্যালেঞ্জিং স্কোর পায় সেটি
সাব্বিরের ৫৪ বলে ৮০
রানের দুর্দান্ত ইনিংসটির সুবাদে। ১০
চার আর ৩ ছক্কায়
ঝলমলে ইনিংসটা সাজিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের এই টপ
অর্ডার ব্যাটসম্যান। লঙ্কানদের
২৩ রানে হারিয়ে এশিয়া
কাপের ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা
উজ্জ্বল হয় বাংলাদেশের।
৫. ৪৮, সৌম্য সরকার,
এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি,
মিরপুর, প্রতিপক্ষ পাকিস্তান
এশিয়া
কাপের ফাইনালে যেতে পাকিস্তানের সঙ্গে
ম্যাচটা জিততেই হতো বাংলাদেশকে। ১৩০
রানের লক্ষ্য তাড়া করতে
নেমে ৪৮ বলে ৪৮
রানের কার্যকরী এক ইনিংস খেলেছিলেন
সৌম্য। চার-ছক্কার ছড়াছড়ি নেই
তাঁর ইনিংসটাতে। তবে
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটাতে বাংলাদেশকে জয়ের প্রান্তে পৌঁছে
দিতে সবচেয়ে বড় অবদান
এই বাঁহাতি ওপেনারের।
0 comments:
Post a Comment