১৯ হাজার শিক্ষার্থী সাত বিষয়ের বই পায়নি বাঞ্ছারামপুর, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার
হোসেন বলেন, ‘বাঞ্ছারামপুর উপজেলায়
তিনটি শ্রেণির সাতটি বিষয়ের বই
সরবরাহ হয়নি, এমনটা আমার
জানা নেই।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় মাধ্যমিকের তিনটি শ্রেণির ১৯
হাজার শিক্ষার্থী সাতটি বিষয়ের বই
পায়নি। বইয়ের
সরবরাহ না থাকায় ওই
শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে
দেওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়।
শাহ রাহাত আলী উচ্চবিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষক আবদুল করিম
বলেন, ‘সপ্তম শ্রেণির দুটি,
অষ্টম শ্রেণির চারটি ও নবম
শ্রেণির একটি বিষয়ের বই
পাইনি। তাই
শিক্ষার্থীদের এসব বই দিতে
পারিনি। উপজেলা
পর্যায়ে যোগাযোগ করা হলে এসব
বই পেতে দুই সপ্তাহ
সময় লাগবে বলে জানতে
পেরেছি।’
উপজেলা
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়
সূত্র জানায়, বাঞ্ছারামপুরে ২২টি
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ থেকে নবম
শ্রেণি পর্যন্ত ২৭ হাজার ৮০০
শিক্ষার্থী রয়েছে। এর
মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ৮
হাজার ৮০০, সপ্তম শ্রেণিতে
সাড়ে ৭ হাজার, অষ্টম
শ্রেণিতে সাড়ে ৬ হাজার
ও নবম শ্রেণিতে ৫
হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। এসব
শিক্ষার্থীর জন্য নতুন বই
চেয়ে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর
চাহিদা জানানো হয়।
এর অনুকূলে গত নভেম্বরে উপজেলায়
৮৮ শতাংশ বই পৌঁছায়। তবে
সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, হিন্দু
ধর্ম শিক্ষা, অষ্টম শ্রেণির আনন্দপাঠ
(বাংলা সহপাঠ), গণিত, ইসলাম ধর্ম
শিক্ষা, হিন্দু ধর্ম শিক্ষা
এবং নবম শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান
বই আসেনি।
রূপসদী
বৃন্দাবন উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর
মোহাম্মদ জমদ্দার বলেন, ‘বই না
পাওয়ায় আমরা তিনটি শ্রেণির
সাতটি বিষয়ের বই শিক্ষার্থীদের
দিতে পারিনি। উপজেলা
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে
না পাওয়া বইয়ের বিষয়ে
যোগাযোগ করা হলে শিগগিরই
পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন।’
উপজেলা
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু
তৌহিদ বলেন, ‘বই সরাসরি
প্রেস থেকে উপজেলায় এসে
পৌঁছায়। কিন্তু
তিনটি শ্রেণির সাতটি বিষয়ের বই
এখনো আমরা পাইনি।
বই না পাওয়ার বিষয়টি
এনসিটিবি, প্রকাশনা পক্ষ (প্রেস), জেলা
প্রশাসক ও জেলা মাধ্যমিক
শিক্ষা কর্মকর্তা মহোদয়কে জানানো হয়েছে।
এসব বই পেতে আরও
সপ্তাহখানেক সময় লাগবে বলে
জানতে পেরেছি।’
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার
হোসেন বলেন, ‘বাঞ্ছারামপুর উপজেলায়
তিনটি শ্রেণির সাতটি বিষয়ের বই
সরবরাহ হয়নি, এমনটা আমার
জানা নেই। বই
ঢাকা থেকে সরাসরি উপজেলা
পর্যায়ে পৌঁছায়। সে
জন্য জানা যায়নি।
তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে
দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
0 comments:
Post a Comment