যশোর-২ আসনে আওয়ামী
লীগ দলীয় সাবেক সংসদ
সদস্য, সাবেক আইসিটি মন্ত্রী
ও রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ (৭৪)
গতকাল বুধবার রাতে রাজধানীর
একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া
ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বেশ কিছুদিন ধরে তিনি বিভিন্ন
রোগে ভুগছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর
উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকন মৃত্যুর
বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর
উপ-প্রেসসচিব বলেন, ‘সাবেক মন্ত্রী
মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদের মৃত্যুতে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর
শোক প্রকাশ করেছেন।
পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন। ’
১৯৪২ সালের ২১ মার্চ
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ
করেন। তার
বাবার নাম সেকেন্দার মোহাম্মদ
মোসলেম। মায়ের
নাম আমেনা খাতুন।
মোস্তফা
ফারুক ১৯৭৯ সালে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বাংলাদেশের অল্টারনেট
রিপ্রেজেন্টেটিভ (বিকল্প প্রতিনিধি) হিসেবে
দায়িত্ব পালন করেন।
একই বছরে তাকে ভারতে
ডেপুটি হাই কমিশনার হিসেবে
নিয়োগ দেয়া হয়।
১৯৮২ সালে তিনি মিসরে
বাংলাদেশ দূতাবাসে দূত হিসেবে যোগ
দেন। ১৯৮৬
সালে দেশে ফিরে এসে
তিনি বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশীয় উপমহাদেশ। সার্কের
মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন
করেন। ১৯৯০
সাল পর্যন্ত সেখানে থাকার পর
ওই বছরের মে মাসে
মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত পদে নিয়োগ পান। ১৯৯৩
সালে তার প্রতিষ্ঠা করা
ভিয়েতনামে বাংলাদেশ দুতাবাসে রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯৬-৯৯ সাল পর্যন্ত
রাশিয়া ও ১৯৯৯-২০০১
সাল পর্যন্ত দিল্লিতে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন
করেন।
মোস্তফা
ফারুক মোহাম্মদ বাংলাদেশের একমাত্র কূটনীতিক যিনি ভারত ও
মিয়নমারে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রে
রাষ্ট্রদুত হিসেবে দায়িত্ব পালন
করেছেন। ২০০১
সালে তিনি চাকরি হতে
অবসরে যান। অবসরের
পর মোস্তফা ফারুক ২০০৮ সালে
নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী
লীগের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনের মধ্য
দিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন।
২০১২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর
আইসিটি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান।
0 comments:
Post a Comment