তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী সাদিকা পারভীন পপির বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে প্রতারণার মামলা হয়েছে। নতুন একটি ছবির পারিশ্রমিক নিয়ে পপি কাজ করেননি—এমন অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী পরিচালক ও প্রযোজক জসীম উদ্দিন মামলাটি করেন। ৪০৬/৪২০ ধারায় মামলাটি হয়েছে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর।
অভিনেত্রী পপির বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা |
অভিযোগে জানানো হয়, পপি গত বছর দ্য আমেরিকান ড্রিম নামের একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হন। কিন্তু পরে কাজ করেননি। অভিযোগে বলা হয়েছে, চিত্রনায়িকা পপি দ্য আমেরিকান ড্রিম ছবিতে অভিনয়ের জন্য ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর চুক্তিবদ্ধ হয়ে দুই লাখ টাকা অগ্রিম সম্মানী গ্রহণ করেন। কিন্তু ছবিটির শুটিংয়ের শিডিউল চেয়ে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি এবং যোগাযোগও করেননি। সম্মানীর অর্থ ফেরত চেয়ে পপিকে উকিল নোটিশ পাঠানো হলে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানান।
পরিচালক জসীম উদ্দিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করায় তাঁর পক্ষে মামলাটির আমমোক্তার ‘সিন সিনারি প্রোডাকশন’-এর জেনারেল ম্যানেজার হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া। মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী হিসেবে আছেন গোলাম সাবের চৌধুরী।
মামলার বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কথা হয় পপির সঙ্গে। কিছুক্ষণ কথা বলার একপর্যায়ে পপি পরে কথা বলবেন বলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে তাঁর দেওয়া সময়ে ফোন করলে তিনি আর ধরেননি। এর আগে কথা প্রসঙ্গে পপি বলেন, ‘আমি অলরেডি ২০০ সিনেমায় অভিনয় করেছি। কখনো এমন অভিযোগ কেউ করেনি। এটা আমাকে অবাক করেছে! কী ঘটনা আপনারা তা বোঝেনই তো।’
কথা প্রসঙ্গে প্রযোজকের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেন পপি। বললেন, ‘শুটিংয়ের শুরুতে নায়ক নেওয়ার কথা ছিল একজন, পরে শুনলাম প্রযোজকই নায়ক হতে চান! যে সময় শুটিং শুরু করার কথা, সে সময়টাও মানা হয়নি। আমাদেরও তো ব্যস্ততা থাকে। অন্য সময় চাইলে তো শিডিউল দেওয়া সম্ভব না।’
—নায়ক হিসেবে কাকে নেওয়ার কথা ছিল?
—যত দূর জানি সায়মন।
—এই ছবিতে এখন কাজ করবেন কি করবেন না?
—দেখা যাক, যদি গল্প ঠিক করে তাহলে ভেবে দেখব। হয়তো কাজ করতেও পারি। দ্য আমেরিকান ড্রিম ছবির পরিচালক অপেশাদার আচরণ করেছেন। তাঁর আচরণেও সমস্যা। আমার কাছে নানা আবদারও করেছেন। শুটিংয়ের আগমুহূর্তে জানতে পারি, তিনি চলচ্চিত্র সমিতির সদস্য নন।
জসীম উদ্দিন ইন্ডাস্ট্রির কেউ না হওয়ার পরও আপনি তাঁর প্রযোজিত ছবিতে অভিনয় করতে রাজি হলেন কেন? তখন কি বিষয়টি ভাবেননি?
উত্তরে পপি বললেন, ‘অবশ্যই ভেবেছি। তিনিও আশ্বস্ত করেছেন।’
মামলা যে হয়েছে, সেটার কপি পেয়েছেন? পপি বলেন, ‘মামলা যে হয়েছে, সেটাই তো জানি না।’
0 comments:
Post a Comment