Home » » ২০১৬-১৭ অর্থবছরের রফতানি আয় বেড়েছে ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

২০১৬-১৭ অর্থবছরের রফতানি আয় বেড়েছে ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

২০১৬-১৭ অর্থবছরের রফতানি আয় বেড়েছে ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ।, চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) রফতানি আয় বেড়েছে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক ৪৪ শতাংশ সময়ে রফতানি আয় হয়েছে এক হাজার ৬৭৯ কোটি ৮১ লাখ মার্কিন ডলার তবে রফতানি আয় লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে আছে। অন্যদিকে,একক মাস হিসেবে সর্বশেষ ডিসেম্বর মাসে রফতানি আয় আগের বছরের একই মাসের তুলনায় দশমিক শুন্য শতাংশ কমেছে
২০১৬-১৭ অর্থবছরের রফতানি আয় বেড়েছে ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের রফতানি আয় বেড়েছে ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়,চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ৭৩৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার এর বিপরীতে আয় হয়েছে এক হাজার ৬৭৯ কোটি ৮১ লাখ ডলার আর গতবছরের একই সময়ে আয় হয়েছিল এক হাজার ৬০৮ কোটি ৩৯ লাখ ডলার
অন্যদিকে,ডিসেম্বরে আয় হয়েছে ৩১০ কোটি ৭১ লাখ ডলার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৩৫ কোটি ডলার গত বছর ডিসেম্বরে আয়ের পরিমাণ ছিল ৩২০ কোটি ৪০ লাখ ডলার
প্রধান রফতানি পণ্য পোশাক খাতের আয় ধারাবাহিকভাবে ভাল হওয়ায় রফতানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন
প্রসঙ্গে বেসরকারী গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশ সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক . মুস্তাফিজুর রহমান বাসসকে বলেন,বাংলাদেশের রফতানি খাত মূলত পোশাক নির্ভর রফতানিতে পোশাক খাতের অবদান দিন দিন বাড়ছেই কারনেই রফতানি আয়ে উল্লেখ করার মত প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হচ্ছে
তিনি রফতানি আয় আরো বাড়াতে প্রচলিত বাজার ছাড়াও নতুন বাজারের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পোশাকের পাশাপাশি অন্য পণ্যে মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন
বাংলাদেশ রফতানিকারক সমিতির (ইএবি) সভাপতি আব্দুস সালাম মূর্শেদী বাসসকে বলেন,রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে পোশাক খাত দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তবে সাম্প্রতিক সময়ে কেউ কেউ বাংলাদেশের পোশাক খাত ধ্বংস করার যড়যন্ত্র করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন
তিনি বলেন,পোশাক ছাড়া অন্যান্য খাতের রফতানি আয় আরো বাড়াতে হবে এজন্য তিনি পোশাকের পাশাপাশি অন্যান্য শিল্প পণ্যের ক্ষেত্রে সরকারের নীতি সহায়তাসহ প্রনোদনা দেওয়ার সুপারিশ করেন
ইপিবির হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী,পোশাক খাতের নিট পণ্য (সোয়েটার, টি-শার্ট জাতীয় পোশাক) প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় দুই- বেড়েছে ৬৬৫ কোটি হাজার ডলারের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রফতানি আয় দাঁড়িযেছে ৬৮১ কোটি ৩৫ লাখ ডলার প্রবৃদ্ধি হয়েছে দশমিক ৯৩ শতাংশ
আলোচ্য সময়ে ওভেন পণ্যেও (শার্ট, প্যান্ট জাতীয় পোশাক) রফতানি আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে দশমিক ৮৭ শতাংশ ৭৬০ কোটি ৮৬ লাখ ডলারের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ওভেন পণ্য রফতানি হয়েছে ৬৮৯ কোটি ৬১ লাখ ডারের
জুলাই-অক্টোবর সময়ে বড় পণ্যের মধ্যে পাট পাটজাত পণ্যের রফতানি আয় বেড়েছে এই খাতে রফতানি আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৭ কোটি ২৫ লাখ ডলার, যার প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ চামড়া চামড়জাত পণ্যের প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ সময়ে ৬২ কোটি ৭৮ লাখ ডলারের চামড়া চামড়াজাত পণ্য রফতানি হয়েছে

এছাড়া মাছ রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে উল্লেখ করার মত এসময়ে ২৯ কোটি ১৫ লাখ ডলারের মাছ রফতানি হয়েছে এতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে দশমিক ০৩ শতাংশ পাশাপাশি আসবাবপত্র,হস্তশিল্প এবং রাসায়নিক পণ্য শুকনো খাবারের রফতানি বেড়েছে তবে প্লাস্টিক বেশ কয়েকটি পণ্য রফতানি গতবছরের তুলনায় কমেছে

0 comments:

Post a Comment

Popular Posts

Blog Archive

Powered by Blogger.