ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২২তম আসর
বসেছে বরাবরের ন্যায় এবারো রাজধানীর
শেরেবাংলা নগরে। দিন
বদলের সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারে এ মেলাকে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের কাছে আরো বেশি
আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে। মেলার
নিরাপত্তা ব্যবস্থা, অন্যান্য ব্যবস্থাপনা, স্টল-প্যাভিলিয়নের সাজ-গোজ সবকিছুই দর্শনার্থীদের
সন্তুষ্ট করবে-এমনটাই জানান
কর্তৃপক্ষ। রাতের
আঁধারে নানারকম রঙিন বাতির ঝলকানি
মন ছুঁয়ে যায়।
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার রকমারি পণ্যে |
মেলায়
প্রবেশ করলে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের
স্টল ও প্যাভিলিয়ন আপনার
চোখে পড়বে। শীতকে
লক্ষ্য করে অর্ধশতাধিক লোকাল
ব্রান্ডের স্টলে স্যুট, কোট,
ব্লেজারের পসরা। হাতের
নাগালেই এসব পণ্যের দাম। এক
হাজার ৫০০ টাকা থেকে
দুই হাজার টাকার মধ্যে
কিনতে পারবেন এসব।
মেলার মাঠ ঘুরলে এসব
পণ্যের কয়েকটি ব্রান্ডের স্টলও
আপনার চোখে পড়বে।
শীত ও গরমের পোশাকের
কয়েকটি দেশীয় ব্রান্ডের প্যাভিলিয়ন
দেখতে পাবেন। ৩০
থেকে ৪০ শতাংশ মূল্য
ছাড়ে পাওয়া যাচ্ছে এসব। কাশ্মীরি,
মনিপুরি শাল ও চাদর
পাবেন অর্ধশতাধিক দেশীয় ও বিদেশি
প্যাভিলিয়নে। পাশপাশি
পাবেন জামদানি ও টাঙ্গাইল শাড়ি।
আপনি যদি শাড়ি, থ্রি-পিস, বিছানার চাদর,
শার্ট, ব্লেজার-এসব বস্ত্র জাতীয়
জিনিসপত্র কিনতে চান প্রবেশ
দ্বারের বামপাশ থেকে যাত্রা
শুরু করতে হবে।
মেলার ডান দিকটায় হাঁটলেই
চোখে পড়বে পার্স, ব্যাগ,
স্যান্ডেল, ঘর সাজানোর জিনিসপত্র,
লাইট ও রান্নার জিনিসপত্র। মেলার
মাঠের মাঝখানে দেখতে পাবেন ইলেকট্রনিক্স
পণ্যের দৃষ্টিনন্দন প্যাভিলিয়নগুলো। যা
এক নজরেই আপনার চোখ
কেড়ে নিবে। এদিকে
প্রধান গেটের আশেপাশেই পাবেন
কাঠের আসবাবপত্রের বড় প্যাভিলিয়ন।
আছে অর্ধশতাধিক খাবারের স্টল ও প্যাভিলিয়ন। পাওয়া
যাচ্ছে দেশি ও বিদেশি
হরেক রকমের খাবার।
ছয় শতাধিক পণ্য দিয়ে
মেলার ৪৬ নং প্রিমিয়ার
প্যাভিলিয়নটি সাজিয়েছে প্রাণ। গ্রাহকদের
জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে বিভিন্ন
প্যাকেজের। এছাড়া
নির্দিষ্ট মূল্যের পণ্য কিনলে থাকছে
নগদ মূল্যছাড়।
বিক্রেতারা
বলেন, মেলাকে সামনে রেখে
৫০টি নতুন পণ্য আনা
হয়েছে। এছাড়া
সবার জন্য প্রায় ৫০টি
প্যাকেজ রয়েছে। যেন
দর্শনার্থীরা তাদের পছন্দমতো পণ্য
নিতে পারেন।
খালি হাতে যেন ফিরে
যেতে না হয়, এমন
ব্যবসায়িক আর্টকে কাজে লাগিয়ে
পণ্যের পসরা সাজিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বিক্রেতারা
বলেন, মেলা উপলক্ষে ৩০টির
বেশি অফার রয়েছে প্রাণের। এসব
প্যাকেজে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা পর্যন্ত
নগদ মূল্যছাড় দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া ক্রেতারা ন্যূনতম ১০০ টাকার পণ্য
কিনলেই ১০ টাকা ছাড়
পাচ্ছেন।
মেলায়
এসেছে ‘এলসন কুলফি’ আইসক্রিম। নিয়ে
এসেছে এলসন ফুডস্ লিমিটেড। বৃহস্পতিবার
প্যাভিলিয়নে পণ্যটির বিক্রয় কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে
উদ্বোধন করেন সুরকার ও
গীতিকার এস আই টুটুল
ও অভিনেত্রী শমী কায়সার।
বাণিজ্য মেলা পরবর্তী সময়ে
এলসন কুলফির বাজারজাত কার্যক্রম
শুরু হবে জানিয়েছেন কোম্পানির
পরিচালক শাহরিম সানজিদ।
তিনি বলেন, ভোক্তাদের স্বাদ
বৈচিত্র্যের কথা মাথায় রেখেই
এই ৬টি ভিন্ন ফ্লেভারগুল
তৈরি করা হয়েছে।
আইসক্রিমগুলো তৈরি করা হয়েছে
মালাই, স্ট্রবেরি, পিস্তাচিও, চকোলেট, ম্যাঙ্গো ও ফালুদা।
বিদেশি
প্যাভিলিয়নগুলো প্রধান গেটের ডান
দিকে স্থাপন করা হয়েছে। এসব
প্যাভিলিয়নে প্রবেশ করলে দেখতে
পাবেন, একটি প্যাভিলিয়নে অনেকগুলো
স্টল ভিন্ন ভিন্ন পণ্যের
পসরা। প্রতিবারের
মতো এবারো পাকিস্তানি স্টলগুলো
সাজানো হয়েছে কম্বল, শাল,
ব্যাগ, চাদর ও থ্রিপিস
দিয়ে। ইরান-বাংলা প্যাভিলিয়নে গেলে
পাবেন পাথর ও মুক্তা
বসানো অলঙ্কার, পোশাক, তসবিহ, ওয়ালম্যাট। বরাবরের
মতোই নান্দনিক সাজে সেজেছে থাই
গ্যালারি। থাই
গ্যালারিতে থাকছে থাই খাবার,
অর্নামেন্টস ক্যাপ, মোমবাতি, ফুল,
স্যান্ডেল, শাল। ইন্ডিয়ান
প্যাভিলিয়ন সেজেছে রঙিন বেশে। শাল,
শাড়ি আর থ্রিপিসে টইটম্বুর
স্টলটি। তুর্কি
স্টলে পাবেন ইস্তাম্বুলের ক্রিস্টালের
জিনিসপত্র। ইরানি
স্টলে থাকছে পোশাক, বোরকা,
পাশাপাশি ট্রে, ওয়ালমেট, চিপস,
পাথর বসানো অলঙ্কার।
এছাড়া মেলায় আমাদের দেশীয়
স্টল ও প্যাভিলিয়নগুলোতে আমাদের
নিত্যপ্রয়োজনীয় বাসন-কোসন, বস্ত্র,
ভোগ্যপণ্য ও প্রসাধন সামগ্রী
পাওয়া যাচ্ছে।
0 comments:
Post a Comment