সীমান্তে
বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোরী
ফেলানী হত্যার বিচার দ্রুত
দেখতে চায় বলে জানিয়েছে
তার পরিবার। শনিবার
ফেলানী হত্যার ষষ্ঠবর্ষ পূর্ণ
হলেও তার বিচার সম্পন্ন
হয়নি। রাজধানীর
শিশু পরিষদ মিলনায়তনে নাগরিক
পরিষদ নামের একটি সংগঠন
আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নিহত
ফেলানীর পরিবার দ্রুত বিচার
সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিতে
সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানী হত্যার বিচার দ্রুত দেখতে চায় |
প্রসঙ্গত,
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর অনন্তপুর সীমান্ত হয়ে বাবার সঙ্গে
বাংলাদেশে ঢোকার সময় বিএসএফ
সদস্যদের গুলিতে প্রাণ হারায়
কিশোরী ফেলানী। কাঁটাতারের
বেড়ায় ফেলানীর ঝুলন্ত লাশের ছবি
গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন
সৃষ্টি হয়। পরে
বাংলাদেশ সরকার ও মানবিকার
সংস্থাগুলোর কড়া প্রতিবাদে বিচারের
ব্যবস্থা হলেও ২০১৩ সালের
৬ সেপ্টেম্বর বিএসএফের আদালত আসামি বিএসএফের
কনস্টেবেল অমিয় ঘোষকে বেকসুর
খালাস দেয়। ফেলানীর
পরিবারের আপত্তিতে বিএসএফ মহাপরিচালক রায়
পুনর্বিবেচনার আদেশ দিলে ২০১৪
সালের ২২ সেপ্টেম্বর নতুন
করে শুনানি শুরু হয়। কিন্তু
পুনর্বিচারে একই আদালত তাদের
পুরনো রায় বহাল রাখে। নিহত
ফেলানী খাতুনের পরিবারকে পাঁচ লাখ রুপি
ক্ষতিপূরণ দিতে গতবছর ভারত
সরকারকে সুপারিশ করে দেশটির জাতীয়
মানবাধিকার কমিশন।
শনিবার
ফেলানীর মা জাহানারা বেগম
বলেন, ফেলানীকে তার বাবার কাছে
বিয়ে দিতে পাঠিয়েছিলাম।
একটি পারিবারিক কাজে তখন আমি
ভারতে ছিলাম। ঘটনার
তিনদিন পর মেয়ের মৃত্যুর
বিষয়টি জানাতে পারি।
তিনি আরো বলেন, আমি
চাই সীমান্তে যেন গুলি না
চলে। কোন
মায়ের সন্তানকে যেন গুলি খেয়ে
মারা যেতে না হয়। এজন্য
ফেলানী হত্যার বিচার দ্রুত
যেন শেষ হয় সেই
উদ্যোগ নিতে সরকারের কাছে
অনুরোধ জানাই।
ফেলানীর
বাবা নুরুল ইসলাম বলেন,
ফেলানীকে চোখের সামনে গুলি
করতে দেখি। এরপর
তার লাশ চারদিন সীমান্তের
কাঁটাতারে ঝুলছিল।
তিনি আরো বলেন, সে
সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন আমাদের
বাড়িতে এসে বলেছিলেন, আমার
পরিবারের দায়িত্ব তিনি নেবেন।
কিন্তু এই ছয় বছরে
তিনি কোন খবর নেন
নাই। সন্তানদের
নিয়ে এই সময়ে চলা
আমার জন্য কঠিন হয়ে
যাচ্ছে। মেয়ের
হত্যার বিচার হলে আর
কাউকে গুলি খেয়ে মরতে
হতো না বলে জানান
তিনি।
0 comments:
Post a Comment